আ হ জুবেদ: পশ্চিম এশিয়ার দেশ কুয়েত। আরবের উত্তরাঞ্চলীয় পারস্য উপসাগরের প্রান্তে এর অবস্থান। দেশটির মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি অভিবাসী রয়েছেন।
অভিবাসী সংখ্যার তালিকায় তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ।
প্রথম মিশরীয় অভিবাসী এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতীয় অভিবাসীরা।
বিশ্বে ধনী দেশ হিসেবে দশম স্থান ও আরব বিশ্বে তৃতীয় স্থানে থাকা কুয়েতের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস জ্বালানি তেল।
আধুনিক কুয়েতের সব শহরের অত্যাধুনিক শপিং মল গুলো সকলের দৃষ্টি কাড়ার মতো হলেও দেশটির সুয়েখ এলাকার মরুর বুকে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা ”সুক আল-জুম্মা” বা ফ্রাইডে মার্কেট ব্যবসায়িক বহুল জায়গা হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
কুয়েতের ”সুক আল-জুম্মা” (ফ্রাইডে মার্কেট) সপ্তাহের চার দিন (বুধ থেকে শনিবার) এখানে বেচা-কেনায় প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করেন স্থানীয় নাগরিকসহ প্রবাসীরা।ব্যস্ত বিক্রেতা আর ব্যস্ত ক্রেতার এই হাটে নতুন-পুরাতন বিভিন্ন প্রকারের পণ্যের বিশাল সমাহার।
একটা সময় এই একই জায়গায় খোলা আকাশের নিচে এই হাট বসতো, যদিও এখন এ হাটের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, তবে শহুরে পরিবেশের ন্যায় সব সুবিধা এখানে নেই।
তবে সবচেয়ে বড় গর্বের একটি জায়গা দখল করে আছেন এ হাটে কর্মরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
এ হাটে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসা ক্রেতা বিভিন্ন দেশের হলেও বিক্রেতাদের একটি বড় অংশ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকার ফলে অভিবাসীদের সার্বিক উন্নতি খুব সহজেই হচ্ছে।
কুয়েতের সর্বত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দখলদারিত্ব একদিকে যেমন গর্বের, অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রত্যাশিত লাভের মুখ দেখছেন তারা।
এ হাটের প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসার ক্ষেত্রে ভালো খারাপ দুটা মিলিয়েই চলছে তাদের দৈনন্দিন ব্যবসা।
তারা আরো জানান, বিভিন্ন পণ্য এখানে রয়েছে, ক্রেতাদের সুবিধার্থে নতুন-পুরাতন, কম মূল্য, বেশ মূল্যের জিনিস ক্রেতারা যাচাই-বাছাই করে কিনে নিতে পারেন।
দেশীয় পরিবেশ আর সংস্কৃতির ছোঁয়ায়, কুয়েতের সুক আল-জুম্মার বিদেশের হাটে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত হবে বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।